ব্যাবসায়িক কাজে, অথবা ব্যাক্তিগত প্রয়োজনে – ওয়েবসাইট এর প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে। কিন্তু ওয়েবসাইট এর হোস্টিং এর জন্য খরচ অনেক বেশি হওয়ার ভয়ে অনেকেই ওয়েবসাইট শুরু করতে ভয় করতে পারেন। তাদের জন্য সবচেয়ে উপযোগি হোস্টিং চয়েস হলো শেয়ার্ড হোস্টিং।

শেয়ার্ড হোস্টিং কি?

একটি মূল সার্ভারে একই রিসোর্স এ অনেক ইউজার এবং অনেক বেশি ওয়েবসাইট হোস্টিং এর সুযোগ নিয়ে প্রোভাইডাররা যেই হোস্টিং প্যাকেজ দিয়ে থাকে, তাকেই শেয়ার্ড হোস্টিং বলে। একই সার্ভারে অনেক বেশি ইউজার নেওয়া যায় – তাই শেয়ার্ড হোস্টিং এর দাম অনেক কম হয়ে থাকে। শেয়ার্ড হোস্টিং এর মাধ্যমে ব্যাবহারকারিদের সহজেই তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট লাইভ করার সুযোগ দেওয়া যায়।

শেয়ার্ড হোস্টিং প্রোভাইডারগন এর সার্ভার সেটআপ করা থেকে শুরু করে মেইনটেনেন্স, সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট সহ সবকিছু দেখা শোনা করেন। ব্যাবহারকারিদের শুধু তাদের নিজেদের ওয়েবসাইট ম্যানেজ করার দায়িত্বটি নিতে হয়। সার্ভার ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে তেমন কিছু না জেনেও একজন ব্যাবহারকারি সহজেই শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যাবহার করতে পারেন।

শেয়ার্ড হোস্টিং কাদের জন্য?

নতুন ব্যাবহারকারী এবং ছোট-মাঝারি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এর জন্য সবচেয়ে ভালো হলো শেয়ার্ড হোস্টিং। নতুন ওয়েবসাইট – যেগুলোতে ভিজিটর তেমন বেশি নয়, সেগুলোর জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যাবহার করা যায়। শেয়ার্ড হোস্টিং এ একসাথে অনেক বেশি ভিজিটর আসলে ওয়েবসাইট স্লো হওয়া থেকে শুরু করে আনরিচেবল ও হয়ে যেতে পারে। তাই বেশি ভিজিটর সমৃদ্ধ বড় ওয়েবাসাইট এর জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং নয়।

যে কেউ সহজেই ব্যাবহার করতে পারে

শেয়ার্ড হোস্টিং এ সার্ভার ম্যানেজমেন্ট এর প্রায় সবকিছুই সার্ভিস প্রোভাইডার ম্যানেজ করে থাকে, তাই এখানে ব্যাবহারকারির তেমন কিছু জানার প্রয়োজন নেই। নতুন যে কেউ সহজেই শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যাবহার করে নিজের সাইট লাইভ করতে পারবে। এছাড়া শেয়ার্ড হোস্টিং এর সাথে সাধারনত বিভিন্ন স্ক্রিপ্ট ইনস্টলার এবং ওয়েবাসাইট ক্রিয়েটর দেওয়া থাকে বিধায় ব্যাবহার কারি নিজের পছন্দমতো ওয়েবাসাইট তৈরি করে নিতে পারে।

সাশ্রয়ী হোস্টিং সলুশন- শেয়ার্ড হোস্টিং

শেয়ার্ড হোস্টিং এ একই সার্ভারে অনেক ওয়েবসাইট ও ইউজার থাকায় এর প্রতি ইউজার এর মাথাপিছু খরচ অনেক অনেক কম। তাই শেয়ার্ড হোস্টিং অনেক সাশ্রয়ী হয়ে থাকে। ব্যাবহারকারীকে আলাদা করে ওয়েবসাইট কনট্রোল প্যানেল এর লাইসেন্স বা ডেডিকেটেড সার্ভার এর খরচ বহন করতে হয় না। তাই যে কোনো ওয়েবাসাইট শুরুর জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং অনেক সুবিধাজনক সমাধান।

প্রয়োজনে পরিধি বাড়ানো যায়

শেয়ার্ড হোস্টিং এর ক্ষেত্রে প্রয়োজনবোধে বড় প্যাকেজ এ আপগ্রেড করে ওয়েবাসাইট এর রিসোর্স বৃদ্ধি করা যায়। এছাড়া, শেয়ার্ড হোস্টিং গুলো সাধারনত cPanel ভিত্তিক হয়ে থাকে। তাই কোনো সময় আপনার ভিপিএস বা ডেডিকেটেড সার্ভার নেওয়ার প্রয়োজন হলে সেখানে cPanel লাইসেন্স নিয়ে সহজেই আপনার ওয়েবসাইট ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন।

পরিশেষে বলা যায়, ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট ও শুরুর জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং খুব সুবিধাজনক একটি সমাধান। তবে পরবর্তিতে ওয়েবসাইট এর বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার হোস্টিং চয়েসেরও পরিবর্তন আসতে পারে, তাই অন্যান্য হোস্টিং সলুশন যেমন ভিপিএস হোস্টিং, ডেডিকেটেড হোস্টিং এর দিকেও আপনার নজর রাখা উচিৎ।

By রাইসুল মুশফেক

টেক লাইফ নিয়ে সাজানো এই ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। উপস্থাপিত বিষয়সমুহে আপনাদের কিছুটা সাহায্য করতে পারলেও আমি আনন্দিত।

One thought on “শেয়ার্ড হোস্টিং কি? আপনার কি এর প্রয়োজন রয়েছে?”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *