ল্যাপটপে দেখানো, সাহায্যল্যাপটপে দেখানো, সাহায্য

ওয়েবসাইটে যত বেশি ব্যাকলিংক পাওয়া যায় ততই ভালো তাই না? – না। শুধু যেমন তেমন ব্যাকলিংক নয়, ওয়েবসাইট এর সাথে সম্পর্কিত ভালো ব্যাকলিংক পেলেই শুধু তা এসইও এবং ডোমেইন অথোরিটি বাড়াতে সাহায্য করে। অন্য দিকে, স্প্যামিং জাতীয় ব্যাকলিংক পেলে তা এসইও র‌্যাংকিং এ নেগেটিভ প্রভাব ফেলতে পারে, এমনকি পেনাল্টি ও খেতে পারে সার্চ ইন্জিন থেকে। পেনাল্টি এর কারনে ওয়েবসাইটের ভিজিটর হুট করে কমে যেতে পারে এবং পেনাল্টি খাওয়ার পর ওয়েবসাইট পূর্বের অবস্থায় ফেরত আনা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এসইওর জন্য অদক্ষ কাওকে নিয়ে এসইও করিয়ে অথবা অন্য কারও স্প্যামিং আক্রমনের শিকার হয়ে আপনার ওয়েবসাইটের অনেক স্প্যাম লিংক তৈরি হলে, সেই লিংক গুলোর জন্য গুগল যেন আপনাকে খারাপ চোখে না দেখে, সেই জন্য গুগলকে সেই লিংক গুলো সম্পর্কে জানানোই হলো লিংক ডিজভাও (Link Disavow)। এর মাধ্যমে আপনি গুগলকে জানাতে পারবেন যে, ওই লিংকগুলো আপনার তৈরি করা নয়, তাই এসইও র‌্যাংকিং এর জন্য সেই নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে আসা লিংক গুলো যেন গুগল বিবেচনা না করে।

লিংক ডিজভাও কখন করবেন?

আপনার ওয়েবসাইট এর লিংক স্প্যামিং হয়ে ওয়েবসাইট পেনাল্টি খেলে তখন সেই লিংকগুলো ডিজভাও অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু তার আগেও ডিজভাও কারতে পারেন। ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক নিয়মিত ভাবে পর্যবেক্ষন করবেন। গুগল সার্চ কনসোল অথবা আপনার পছন্দের অন্য কোনো এসইও টুলস দিয়ে ব্যাকলিংক গুলো দেখে যেগুলো আপনার কাছে ক্ষতিকর মনে হয়, সেগুলো গুগলের কাছে ডিজভাও করতে পারেন। তবে ডিজভাও সাবমিট করার পূর্বে যেই ওয়েবসাইট থেকে স্প্যাম ব্যাকলিংক আসছে, তাদের সাথে যোগাযোগ করে লিংক রিমুভ করার চেষ্টা করতে হবে। তাদের সাথে যোগাযোগ করার পূর্বে কখনো ডিজভাও রিকুয়েস্ট করবেন না। আর তাদের সাথে যেগাযোগ করার সকল রেকর্ড সাথে রাখুন যেন তা ডিসভাও ফাইল সাবমিট এর সময় সংক্ষিপ্ত আকারে যোগ করে দিতে পারেন। যোগাযোগ করেও যদি লিংক রিমুভ না হয়, শুধুমাত্র তখনই ডিজভাও করবেন।

কিভাবে ডিসভাও রিকুয়েস্ট করবেন?

ডিসভাও ফাইল সাবমিট করতে হয় .txt ফাইলে। সঠিক ফরম্যাটে ডিসভাও ফাইল সাবমিট না করলে কাজ না-ও হতে পারে। তাই এই ফাইলটি তৈরি করার জন্য টেক্সট ফাইলে প্রতি লাইনে একটি করে লিংক দিয়ে দিন যেই লিংক গুলোতে আপনার ওয়েবসাইট এর স্প্যাম লিংক পোস্ট হয়েছে। সেই লাইনের ওপরের লাইনে # সাইন দিয়ে কমেন্ট এর মাধ্যমে লিংক রিমুভ করার জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করে কি ফলাফল পেয়েছেন তা সংক্ষেপে বর্ননা দিন। এবং সবার শেষে আপনার নিজের ডোমেইন এর পূর্বে domain:yourdomain.com দিন। এখানে আপনার ডোমেইন এর নামের আগে “domain:” অংশটি অবশ্যই দিতে হবে।

txt ফাইল তৈরি হয়ে গেলে:

  • আপনার গুগল একাউন্টে লগইন করে ডিজভাও টুল এ যান।
  • এখান থেকে আপনার ওয়েবসাইটটি নির্বাচন করুন।
  • টেক্সট ফাইলটি সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।

ফাইল সাবমিট করার পর তা কার্যকর হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক অ্যালগরিদম কাজ করে এবং আপডেট হয় যা কিছুটা সময় নেয়, তাই পরিবর্তন লক্ষ্য করতে কয়েক সপ্তাহ থেকে মাসখানেক সময় লাগতে পারে। এ সময় টুকু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন।

এ সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানান। আমি যথাসাধ্য উত্তর দেওয়ার চেস্টা করবো।

By রাইসুল মুশফেক

টেক লাইফ নিয়ে সাজানো এই ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। উপস্থাপিত বিষয়সমুহে আপনাদের কিছুটা সাহায্য করতে পারলেও আমি আনন্দিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *