ওয়েবসাইট যখন আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজন এ পরিনত হয়েছে, তখন এর গুরুত্ব নিয়ে আর আলাদা ভাবে বলার কিছু নেই। আপনার নিজের কোনো ওয়েবসাইট থাকলে তার নিরাপত্তার বিষয়টিও আপনার ভাবতে হবে। কোনো কারনে ওয়েবসাইট এর কোনো তথ্য মুছে গেলে শুধু আপনিই নন, আপনার ওয়েবসাইট এর ব্যাবহারকারীরাও অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। তাই ওয়েবসাইট এর তথ্য ব্যাকআপ রাখা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। ব্যাকআপ করার বর্তমানে অনেক অপশন ই পাওয়া যায়। তার মধ্যে ক্লাউড ব্যাকআপ এবং লোকাল ব্যাকআপ হলো প্রধান দুটি অপশন। এর মধ্যে কোনটি হলে ভালো হয় এমন প্রশ্ন আমাকে করা হলে আমি বলবো দুটিই করতে, কেননা কোনো তথ্য যত বেশি যায়গায় ব্যাকআপ রাখা হবে, তা ততটাই নিরাপদ। এ ক্ষেত্রে একটি ব্যাকআপ কোনো কারনে নষ্ট হয়ে গেলেও অন্য জায়গা থেকে তা পাওয়া যাবে। লোকাল স্টোরেজ এবং ক্লাউড স্টোজের এর সুবিধা গুলো হলো:

লোকাল স্টোরেজ ব্যাকআপ: লোকাল স্টোরেজ ব্যাকআপ এর সুবিধা গুলো হলো:

১. প্রায় আনলিমিটেড স্টোরেজ: ক্লাউড ব্যাকআপ সিস্টেম এ ব্যাকআপ এর জন্য নির্ধারিত কয়েক জিবি যায়গা দেওয়া থাকে। অপরদিকে লোকাল স্টোরেজ (হার্ড ড্রাইভ) এর দাম অনেক কম হওয়ায় আপনি প্রয়োজন মতো যে কোনো পরিমান তথ্য ব্যাকআপ করতে পারবেন এবং নতুন হার্ডডিস্ক কিনে আপনার ব্যাকআপ এর পরিমান বাড়াতে পারবেন।

২. তথ্যের নিরাপত্তা: লোকাল ব্যাকআপ এ তথ্যের নিরাপত্তা ক্লাউড ব্যাকআপ এর তুলনায় বেশি পাওয়া যা। কেননা ক্লাউড ব্যাকআপ ইন্টারনেটে থাকায় এটি বিভিন্ন প্রকার হ্যাকিং এর টার্গেট হলেও লোকাল ব্যাকআপ এ এমন ভয় নেই।

৩. অফলাইন অ্যাক্সেস: অনলাইন বা ক্লাউড ব্যাকআপ এর ডাটা এক্সেস করার জন্য ইন্টারনেট কানেকশন আবশ্যক। কিন্তু লোকাল ব্যাকআপ এক্সেস করার জন্য কোনো ইন্টারনেট কানেকশন এর প্রয়োজন নেই।

ক্লাউড স্টোরেজ ব্যাকআপ: ক্লাউড ব্যাকআপ এর সুবিধা গুলো হলো:

১. যে কোনো যায়গা থেকেই ডাটা এক্সেস: ক্লাউড ব্যাকআপ এর ক্ষেত্রে ডাটা যেহেতু ইন্টারনেটেই থাকছে, তাই আপনি যে কোনো যায়গা থেকেই তা অ্যাক্সেস করতে পারবেন এমনি চাইলে সহজেই অন্য কারও সাথে শেয়ার করতে পারবেন।

২. অফসাইট প্রটেকশন: লোকাল তথ্য লোকালি আপনার কাছে থাকলেও সেখানে কোনো দুর্ঘটনা বা যান্ত্রিক সমস্যার কারনে আপনার তথ্য হারিয়ে যেতে পারে। কিন্তু ক্লাউড ব্যাকআপে এ ধরনের সমস্যার কোনো সুযোগ নেই। এমনকি চুরি হওয়া, ভাইরাস এর আক্রমনের ভয়ও অনেক কম।

৩. ফ্রি অপশন রয়েছে: অনেক ক্লাউড সার্ভিস প্রোভাইডার শুরু করার জন্য ফ্রি ক্লাউড সার্ভিস দিয়ে থাকে, যেমন গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স এদের ফ্রি সার্ভিস রয়েছে। তাই অল্প পরিমান তথ্য ব্যাকআপ করার জন্য এদের ফ্রি সার্ভিসও ব্যাবহার করা যেতে পারে।

কোনটি আপনার প্রয়োজন?

লোকাল এবং ক্লাউড ব্যাকআপ এর সুবিধা গুলো দেখে এবং আপনার ব্যাবসা বা ব্যাক্তিগত প্রয়োজনের কথা ভেবে আপনাকেই ঠিক করতে হবে আপনি কোন সার্ভিসটি ব্যাবহার করবেন। তবে আমার মতামত হলো দুই ধরনেরই ব্যাকআপ ব্যাবহার করে সব ধরনের সুবিধাগুলো আপনার অনুকুলে ব্যাবহার করা। কেননা প্রয়োজনের মুহুর্তে হারানো তথ্য গুলোর মূল্য সম্পর্কে বোঝা যায়। তাই আগে থেকেই তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

By রাইসুল মুশফেক

টেক লাইফ নিয়ে সাজানো এই ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। উপস্থাপিত বিষয়সমুহে আপনাদের কিছুটা সাহায্য করতে পারলেও আমি আনন্দিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *