ডোমেইন অথোরিটিডোমেইন অথোরিটি

ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করার সময়, বিশেষ করে এসইও নিয়ে কাজ করার সময় ডোমেইন অথোরিটি (DA) কথাটি বেশি শোনা যায়। কিন্তু এই ডোমেইন অথোরিটি আসলে কি এবং এর প্রয়োজনিয়তা কেমন- তা নিয়েই আমার এই আজকের লেখা। চলুন শুরু করা যাক:

ডোমেইন অথোরিটি আসলে কি?

ডোমেইন অথোরিটি হলো, একটি ডোমেইন এর পাওয়ার কেমন তা পরিমাপের একটি উপায়। সার্চ ইন্জিন র‌্যাঙ্কিং এর জন্য ডোমেইন অথোরিটি একটি ফ্যাক্টর হিসেবে গন্য হয়।

ডোমেইন অথোরিটি সিস্টেমটি চালু করেছে মোজ কোম্পানি থেকে। মোজ সার্চ ইন্জিন অপ্টিমাইজেশন টুলস গুলো এসইও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে অনেক নির্ভরযোগ্য টুলস এবং সেগুলো বিভিন্ন রকম তথ্যের ওপর ভিত্তি করে একটি সাইট এর বিভিন্ন রকম র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর শো করে। একেবারে নতুন কোনো ডোমেইন এর ডোমেইন অথোরিটি এক থেকে শুরু হয় এবং সর্বোচ্চ ১০০ স্কোর এর মধ্যে ডোমেইন অথোরিটি দেখানো হয়ে থাকে। ডোমেইন অথোরিটি মূল সেই ওয়েবসাইট এর ব্যাকলিংক এর কোয়ালিটি ও নির্ভারযোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে হয়ে থাকলেও এসইওর অন্যান্য ফ্যাক্টরগুলো সাথে ধরেই এই র‌্যাংকিং করা হয়। গুগল সার্চ রেজাল্ট বিশ্লেষন করে, মেশিন লার্নিং এর মাধ্যমে অটোমেটিক ভাবে নিয়মিত র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর এর ওপর ভিত্তি করে ডোমেইন অথোরিটি নির্ধারণ করা হয়। এক্সপায়ার্ড ডোমেইন থেকেও অনেক সময় ভালো ডোমেইন অথোরিটি পাওয়া যায় কেননা এতে অনেক সময় ভালো ব্যাকলিংক করা থাকে।

আসলে কি ডোমেইন অথোরিটি আমার জানা প্রয়োজন?

যদিও ডোমেইন অথোরিটি সরাসরি গুগল থেকে দেওয়া নয়। তারপরও গুগল সার্চ রেজাল্ট এর ওপর ভিত্তি করেই নিয়মিত ডোমেইন অথোরিটি পরিবর্তিত হয়ে থাকে। তাই ডোমেইন অথোরিটি এর মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দি ওয়েবসাইট রিসার্চ করে, সেই সেক্টরে নিজের ওয়েবসাইট এর প্রভাব ও অবস্থান সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়।

ডোমেইন অথোরিটি কোথায় চেক করা যাবে?

ডোমেইন অথোরিটি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য তো জানলেন, এখন আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথোরিটি চেক করার জন্য কিছু অপশন রয়েছে। আপনি চাইলে ওপেন সাইট এক্সপ্লোরার অথবা মোজবার (ব্রাউজার এক্সটেনশন) ব্যাবহার করে আপনার ও আপনার কম্পিটিটর এর ডোমেইন অথোরিটি চেক করতে পারবেন। এছাড়া ওয়েবসাইট এসইও চেকার এর মাধ্যমেও অন্যান্য তথ্যের সাথে আপনার ওয়েবসাইট এর ডোমেইন অথোরিটিও জেনে নিতে পারবেন।

ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথোরিটি বাড়ানোর ক্ষেত্রে শুধু মাত্র ১ থেকে ১০০ ডোমেইন অথোরিটিতে যাওয়ার চেষ্টা না করে আপনার নিশ সেক্টরে অন্য ওয়েবসাইট গুলোর ডোমেইন অথোরিটি কেমন, তা পর্যবেক্ষণ করে তাদের চেয়ে ভালো ডোমেইন অথোরিটি নিয়ে আসার চেষ্টা করুন। কোনো কারনে ওয়েবসাইট এর নেগেটিভ এসইও বা খারাপ ব্যাকলিংক বেড়ে গেলে গুগলে ডিসভাও রিকুয়েস্ট দিয়ে তার নেগেটিভ প্রভাব কমিয়ে নিতে পারেন।

৫ মার্চ, ২০১৯ থেকে ডোমেইন অথোরিটি ২.০ চালু হতে যাচ্ছে যা ডোমেইন অথোরিটি হিসাবের ক্ষেত্রে বড় পবির্তন আনবে। হয়তো বিভিন্ন কিছুর ওপর নির্ভর করে করাও ডোমেইন অথোরিটি বাড়বে, কারও কমবে, এদিকেও নজর রাখবেন। আপনার ওয়েবসাইট এসইওর জন্য সঠিকভাবে অপটিমাইজ করতে এই লেখাটি পড়ে নিন।

By রাইসুল মুশফেক

টেক লাইফ নিয়ে সাজানো এই ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। উপস্থাপিত বিষয়সমুহে আপনাদের কিছুটা সাহায্য করতে পারলেও আমি আনন্দিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *