ওয়েবসাইটটে বেশি ভিজিটর পাওয়াটা সব ওয়েবসাইট মালিকের জন্যই একটি প্রতিক্ষিত বিষয়। কিন্তু অপ্রত্যাশিত ভাবে ওয়েবসাইট এর ভিজিটর হটাৎ করে বেড়ে গেলে এবং তার জন্য কোনো প্রস্তুতি না থাকলে ওয়েবসাইট স্লো হওয়া থেকে শুরু করে পুরো ওয়েবসাইট বন্ধও হয়ে যেতে পারে। হটাৎ করে ভিজিটর বেড়ে যাওয়ার বেশ কিছু কারন থাকতে পারে, এর মধ্যে ভাইরাল হয়ে যাওয়া কোনো পোস্ট, নতুন কোনো মার্টেটিং পলিসি কাজ করা সহ বিভিন্ন কারন থাকতে পারে, তবে কারন যা ই হোক না কেন, ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট সঠিকভাবে অপটিমাইজ করতে পারলে তা অনেক ভিজিটর একসাথে নিতে পারবে। তাই এ রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি হতে নিচের কাজগুলো করতে হবে:
সার্ভার নিয়ে চিন্তা: ওয়েবসাইটে যে পরিমান ভিজিটরই আসুক না কেন, তার সকল চাপ সরাসরি সার্ভারকেই নিতে হয়। ওয়েবসাইট শুরু করার ক্ষেত্রে বেশিভাগ ওয়েবাসাইট শেয়ার্ড হোস্টিং সার্ভার এ শুরু করা হয়। এটি মোটেও খারাপ কিছু নয়, শেয়ার্ড হোস্টিং এর সুবিধা রয়েছে অনেক। কিন্তু শেয়ার্ড হোস্টিং হটাৎ আপনার নিজের বা একই সার্ভারে থাকা অন্য কারও ওয়েবসাইট এর ভিজিটর হটাৎ বেড়ে গেলে তা আপনার ওয়েবসাইটের পারফরমেন্স স্লো করে দিতে পারে, এমনকি ওয়েবসাইট আনরিচেবল ও হয়ে যেতে পারে। তাই ওয়েবসাইট এ ভিজিটর বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে শেয়ার্ড হোস্টিং এর ক্ষেত্রে বড় ও ভালো কোনো প্যাকেজ এ চলে যাওয়ার চেষ্ঠা করুন অথবা ভিপিএস সার্ভার নিন। ভিপিএস সার্ভারে সাধারনত শেয়ার্ড হোস্টিং এর সমস্যাগুলো তেমনভাবে না থাকায় বেশ নিশ্চিন্তে সার্ভিস পরিচালনা করা যায়।
ওয়ার্ডপ্রেসে পরিবর্তন: ওয়ার্ডপ্রেস একটি জনপ্রিয় কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার। সারা বিশ্বে অধিকাংশ ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেসে চালানো হয়। তাই এর নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে তেমন সন্দেহের সুযোগ নেই। তবে ওয়েবসাইট যতটা সম্ভব দ্রুততর করতে হলে ওয়েবসাইটে যতটা সম্ভব হালকা হতে হবে। তাই অপ্রয়োজনীয় প্লাগইন গুলো ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং শুধুমাত্র ভালোভাবে অপটিমাইজ করা থিম ওয়েবসাইটে ব্যাবহার করা যাবে। প্রয়োজনে ওয়েবসাইটে ছবির পরিমান যতটুকু সম্ভব কমিয়ে দিতে হবে অথবা এক্সটার্নাল রিসোর্স হিসেবে ব্যাবহার করতে হবে যেন সকল চাপ সার্ভারের ওপর না পড়ে। এছাড়া ক্যাসিং (Caching) এর মাধ্যমেও ওয়েবসাইট দ্রুত লোড করার ব্যাবস্থা করা যায়।
ওয়েবসাইট এর কমেন্ট অনেক বেশি আসলে সেগুলো সার্ভারেই প্রসেস না করে কোনো থার্ড পার্টি সার্ভিস ব্যাবহার করা যেতে পারে (যেমন: Disqus)। এছাড়া কোনো কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক (যেমন: CloudFlare) ব্যাবহার করেও ওয়েবসাইট লোডিং এর অনেক চাপ কমানো সম্ভব। ওয়ার্ডপ্রেসের সুবিধাগুলো দেখে যদি আপনার ব্লগার ব্লগটিকে ওয়ার্ডপ্রেসে ট্রান্সফার করে আনতে চান। সেটিও এখন সম্ভব!
ওপরের ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং সমস্যা অনেকাংশেই কমিয়ে আনতে সক্ষম হবেন। এখন আপনার ওয়েবসাইট আরও অনেক বেশি ভিজিটর নেওয়ার জন্য প্রস্তুত যেমনটি প্রস্তুত আপনি নিজেও!